I love Geography!

ছোট বেলা থেকেই ভূগোল এর প্রতি তীব্র একটা ঝোক ছিল

বিশ্ব ভ্রম্মান্ড কি করে কাজ করছে, প্রশ্নটা বেশ খুব ভাবিয়ে তুলতো

যার উত্তর কিছুটা হলেও ভূগোলে খুঁজে পেতাম

কিন্তু ছোট বেলার সেই তথ্য গুলো যেন দিন দিন কেমন পাল্টে যাচ্ছে

পড়েছিলাম, সূর্য স্থির, পৃথিবীর মতো ঘুরে বেড়ায় না, এখন শুনছি তা ভুল

পড়েছিলাম পৃথিবী গোলাকার, এখন শুনছি তা ফ্লাট!

কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা পুরোইং যেন সময়ের সাথে আপেক্ষিক হয়ে উঠেছে

স্বস্তির কথা এই যে, এমন একটা বই খুঁজে পেয়েছি যা সময়ের সাথে পাল্টে যায় না, যা নিরন্তর, যা নিরাপেক্ষিক, যা ১০০% সঠিক তথ্য দেয়

তাতে পেলাম:

পৃথিবীটাকে উট পাখির ডিমের আদলে তৈরি করা হয়েছে [১]

চাদ ও সূর্য দুটোই নিজ কক্ষে ঘুরছে [২]

শুধু তাই না, আরো পেলাম:

পুরো ভ্রম্মান্ড দিন দিন আকারে বেড়েই চলছে [৩]

এক বিশাল ধামাকার মাধ্যমে যার সূচনা [৪]

যা প্রাথমিক ভাবে ধুয়াটে অবস্থায় ছিল [৫]

পেলাম:

চাদ এর কোনো নিজেস্ব আলো নেই এবং সে কেবল সূর্যের রোশনিকে ধার করে চলছে [৬]

তবে এই আলো একদিন আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পরবে [৭]

আরো পেলাম:

পৃথিবীটা বিভিন্ন টুকরো টুকরো নিয়ে ভেসে আছে যা পাহাড় দ্বারা খিলি করা যাতে সে আমাদের নিয়ে দোল না খায় [৮]

এবং এর প্রাণীকুলকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে [৯]

এবং এই প্রাণীকুলকে বাঁচানোর জন্য ওজন লেয়ার দ্বারা নিরাপদ করা হয়েছে [১০]

তথ্য গুলো বিশ্বাস করতে বাধ্য আমি কারণ

এটা এমন একটা বই যাতে কোনো সন্দেহ নেই… [11]

বইটার নাম আর খুলে নায়ী বললাম…

 

It’s not my job!

কর্ম ক্ষেত্র ও প্রতিদিনকার জীবনের এক উঠতি এটিচুড

“এটা তো আমার কাজ না”

“এটা আমি কেন করবো?”

“সব কি আমাকেই করতে হবে!”

“তাহলে ওকে এতো বেতন দিয়ে রাখসে কেন?”

লজিকাল বাট এক্সট্রিমলি ফালতু একটা তর্ক

“আপনি করবেন, কারণ কাজটা করা দরকার”

“আপনি করবেন, কারণ, না করলে আপনার কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে”

সব থেকে বড় কথা,

“আপনি করবেন কারণ এটা আপনি করতে পারেন”

ছোট বেলার একটা কথা আমায় বেশ নারা দিয়েছিলো,

কথাটি হলো:

“পাহাড়ের উপর আপনার সামনে দিয়ে যদি এক অন্ধ বেক্তি কিনারার দিকে এগিয়ে যায় আর আপনি যদি তাকে না থামান তাহলে সে পরে গেলে দোষ কার হবে?

সেই অন্ধ বেক্তির? না আপনার?”

কথাটি, এখন পর্যন্ত সেটা আমার কাজের ম্যাপ কাঠি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে.

আপনার যদি ভালো কিছু করার ক্যাপাসিটি থাকে তাহলে অটোমেটিক সেটা আপনার দায়িত্বে অন্তর্ভুক্ত ,কারণ সৃষ্টি কর্তা আপনাকে সেভাবেই তৈরী করেছেন আর দায়িত্ব অবেহেলা করলে অবশ্যই তাঁর কাছে জবাবদিহি করতে হবে

বিচার দিবসে যে ৫টি প্রশ্ন ছাড়া আপনি আগাতে পারবে না, তার অন্যতম প্রশ্নটি হলো আপনার অর্জিত জ্ঞান সম্পর্কে, আপনি কি জ্ঞান অর্জন করেছেন আর তা দিয়ে আপনি কিভাবে বেহাভে করেছেন (তিরমিযী ২৪১৬)

বিচার দিবসে বিশ্বাস রাখুন বা না রাখুন, উনার কিছু যায় আসে না

বাট জেনে রাখুন

ইটস দেয়ার এন্ড ইটস কামিং….

I am a Teabag

teabags

আমি একটি টি-ব্যাগ!

জি ভাই, একটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটি টি-ব্যাগ…

টি-বেগ দেখেছেন নিশ্চই?

বাজারে তো হরেক রকমের টিবেগই আছে, নানা জাতের, নানা লেবেলের, নানা ফ্লেভারের

সুন্দরের মোড়কের আড়ালে হলুদ, সবুজ লেবেল যাই হোক না কেন, তার মূল্যায়ন কিন্তু হয় তার ভিতরের কোয়ালিটির উপর..

আর এই কুয়ালিটি একমাত্র গরম সিচুয়েশনেই প্রকাশ পায়….

আমি জানি বা না জানি, আমার মেনুফেস্টুরার কিন্তু আমার কোয়ালিটি সম্পর্কে অবগত..

তাইতো তিনিঁ বারবার আমাকে এরকম সিচুয়েশনে ফেলে দিয়ে আমার প্রিমিয়াম কোয়ালিটিটি বের করে আনার চেষ্টা করছেন…

কখনও কি মোড়কের গায়ে পড়ে দেখেছেন কি লিখা আছে?

লিখা আছে:

“আমি অবশ্যই তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে সবরকারীদের সুসংবাদ দাও ” [কোরান ২:১৫৫]

“নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সাথে আছেন যারা অন্যের সেবায় নিয়োজিত [কোরান ২৯.৬৯]”

মগের উপরি ভাগে থাকি বা তলদেশে থাকি তা বিষয় নয়, অন্যের সেবাই আমার ব্রত

তেমনি, ধর্মে বা কর্মে যে লেভেলেই থাকি না কেন সেবাই আমার ব্রত…

এটাই আমার সার্থকতা

সো নেক্সট টাইম,

কেউ উপরে গরম পানি ঢেলে দিক অথবা গরম পানিতে ছেড়ে দিক

ধৈর্য ধরুন আর বলে উঠুন

“আমি একটা টি বেগ, সেবাই আমার ব্রত, এখানেই আমার সার্থকতা…”

Interesting Bali Fact

gili

ইন্টারেষ্টিং বালি ফেক্ট:

ইন্দোনেশিয়ার ৮৭% ভাগ মানুষই ইসলাম ধর্মের অনুসারী, বেতিক্রম শুধু বালি, যার ৮৩% ভাগই হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের

মজার বিষয় হচ্ছে,

এই বিশাল হিন্দু গোষ্ঠী ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সরকারি ভাবে নিজেদের কে কোনো ধর্মের অনুসারী হিসেবে দাবি করে পারেনি!

কারণ,

সরকারের কাছে সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের সংগা ছিল,

ধর্মকে একেশ্বরবাদী হতে হবে

যার উত্তরে

১৯৫৮ সালে বালিনিস হিন্দু গোষ্ঠী নিচের এই সংস্কৃত মন্ত্রের উদৃতি দিয়ে একটা পিটিশন সাবমিট করেন

“ওম তাক সাত একাম অদভিতিয়াম”- যার অর্থ

“ওম! এটা সত্য, তিনি এক এবং তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নেই!”

এবং তখনি শুধু সরকার হিন্দু ধর্ম কে একটি রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত দিতে বাধ্য হন.

Gili Island Tour Experience

rough sea 1

 

গিলি থেকে ফিরছি

উত্তাল সমুদ্র। স্পিড বোর্ডের ক্যাপ্টেন এনা পরিবহনের এক প্রাক্তন ড্রাইভার..

ঢেউ যত ফুলছে, তাল মিলিয়ে স্পিড তত বাড়াচ্ছে..টেনিস বলের মতো বাউন্স খেতে খেতে আগাচ্ছি..

মাঝে মাঝে কেপ্টেন সাহেব আবার গেরেজের পোলাপানের মতো ডানে বায়ে বাউলিও মারছে

পিছনে আমরা ৫০ জন মোটামোটি খোদাকে ডাকতে ডাকতে নামিয়ে ফেলছি

বেশিক্ষণ টিকতে পারলাম না, গিয়ে বললাম…

ভাই বাসায় একটা আড়াই বছরের ছেলে রাইখা আসছি, কাইন্ডলি স্লো ডাউন..

ফিরতি পথে দেখলাম যাত্রীদের চোখে কৃতজ্ঞতার চাওনি, ভাবছে না জানি কোন দেশের বীর পুরুষ..

কোথায় যেন কেপ্টেন সাহেব কিছুটা সদয় হলেন, খোদাও ডাকে সারা দিলেন

জান নিয়ে কোনো রকমে তীরে ফিরলাম

আর তখনি সূরা ইস্রার ৬৭ নাম্বার আয়াত টি মনে পরে গেলো..

“যখন সমুদ্রে তোমাদের উপর বিপদ আসে, তখন শুধু আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ডাক না। আর যখন তিনি তোমাদেরকে স্থলে ভিড়িয়ে উদ্ধার করেন, তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ”

ভাবছি আসলেইতো!