শেষ ১০টি সূরা কম বেশি আমরা সবাই জানি..
কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন, যে এই ১০ টি সূরার মাঝে একটি ইন্টারেষ্টিং প্যাটার্ন আছে?
প্যাটার্নটি স্টার্ট হয়েছে হজরত ইব্রাহিম আঃ এর একটি বিক্ষাত দুআকে ঘিরে,
“হে আমার রব, তুমি এ শহরকে হেফাজত করো এবং এর অধিবাসীদেরকে ফল ফলারি দ্বারা সমৃদ্ধ করো… [সূরা বাকারা ২:১২৬]
১. সূরা ফিল:
গল্প শুরু হস্তী বাহিনী দিয়ে, এই সূরাতে আল্লাহ মক্কাবাসীকে আব্রারহার হাতির বহর থেকে হেফাজত করলেন
২. সূরা কুরাইশ:
হস্তী বাহিনীর পরাজয়ের মাধ্যমে কুরাইশদের সম্মান অনেক বেড়ে গেলো, তাদের ব্যবসায আরো প্রসার হলো, নানা দিক থেকে নানা রকমের ফলফলারি আসা স্টার্ট করলো
৩. সূরা মাউন:
আল্লাহ কুরাইশবাসীদের বললেন, এই যে তোমাদের শান্তি ও ফলফলারি দিয়ে খুশি রেখেছি, এখন তো অন্তত তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের লিগ্যাসি অনুসরণ করো!
সেটা কি ছিল?
“এক শ্রষ্টার ইবাদত এবং মানব সেবা”
সূরা মায়ুনের বিষয় বস্তু:
“স্রষ্টার উদ্দেশে নামাজ, নামাজে অলসতা না করা, লোক দেখানো কাজ না করা,
পাড়া প্রতিবেশী ও গরিব দুঃখীদের ধিক্কার না করা এবং
নিজের ব্যবহারিক সরঞ্জাম অন্যের সাথে শেয়ার করা”
৪. সূরা কাওসার:
কুরাইশরা হজরত ইব্রাহিমের লিগ্যাসি তো আর ফলো করলো না, তাই তিনি দেখিয়ে দিলেন এমন একজনকে যিনি সেই লিগাসিটি ফলো করছেন- “রাসূলুল্লাহ”
সূরা কাওসার হচ্ছে রাসূলুল্লাহ কে নিয়ে এবং এখানে তিনি রাসূলকে আদেশ করেছেন:
“নামাজ পড়ো এবং কুরবানী দাও” (নামাজ ও কুরবানী যেন কার সুন্নাত?)
৫. সূরা কাফিরুন:
হজরত ইব্রাহিম কে ফলো করতে গিয়ে রাসূলুল্লাহকে
“তোমার ধর্ম তোমার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে”
বলে তার গোত্র ত্যাগ করতে হলো
গোত্রীয় সমাজে এই ত্যাগ বিষয়টা গাদ্দারির সমতুল্য এবং এর সমাধান একটাই, যুদ্ধ!
সো বেসিক্যালি সূরা কাফিরুন হলো “যুদ্ধ ঘোষণার এক নথিপত্র” যাকে ইংরেজিতে ডিক্লারেশন অফ ওয়ার বলা হয়
৬. সূরা নাসর:
যুদ্ধ মানেই জয় অথবা পরাজয়, তাইতো তিনি জয়ের ভভিষ্যৎও দিয়ে দিলেন
“যখন আল্লাহর সাহায্য আসবে ও তার সাথে বিজয়ও আসবে
তখন আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন”
৭. সূরা লাহাব:
জয়! সে তো বহু দূর, মুসলমানদের অবস্থা, যায় যায় এর মদ্ধে জয় আসবে কি করে? তাই, জয়ের এক ছোট্ট স্বাদ টেস্ট করলেন ইসলামের কট্টর শত্রূ আবু লাহাবের পরাজয়ের মাধ্যমে
৮. সূরা ইখলাস:
অনেক বছর ধরে যোদ্ধ চললে যেটা হয়, মানুষ যুদ্ধ কেন করছে তার আসল উদ্দেশ্যটিই হারিয়ে ফেলে,
তাই আল্লাহ সূরা ইখলাসে এই যুদ্ধের আসল উদ্দেশ্যটি আবারো মনে করিয়ে দিলেন-
আসল উদ্দেশ্য “তাওহীদ”- “খোদা একজনই”
৯. সূরা ফালাক
তাওহীদ এস্টাব্লিশ হলো
কিন্তু আগেও নবী রাসূল এসেছিলেন, এবং তাদের মৃত্যুর পরপরই মানুষ তাদের শিক্ষা ভূলে যায়. সো এখন কি ভাবে এই তাওহীদ কে ধরে রাখা যায়?
তিনি লিস্ট করে দিলেন, বাহির ও ভিতর গত সব সম্ভাব্য ক্ষেত্র গুলো যা থেকে বিপদ আসতে পারে
প্ৰথমেই বহির্গত বিপদকে টার্গেট করলেন, তিনি দুআ শিখিয়ে দিলেন
“আমি আমার রবের কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে ”
১০. সূরা নাস
তারপর ফাইনালি তিনি সে সব জিনিস থেকে বাঁচতে শিখিয়ে দিলেন
যা আমাদের কে ভিতর থেকে এটাক করে, যেমন ওয়াসওয়াসা বা মেন্টাল চেটার, তিনি আবারো দুআ শিখিয়ে দিলেন
“আমি আমার রবের কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, তার কাছ থেকে যে মানুষের অন্তরে ওয়াসওয়াসা বা মেন্টাল চেটারের মাধ্যমে কুমন্ত্রণা দেয়..”
পেটার্নটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে, জানি না অন্যের কি মত, আমি অন্তত এমনটাই ভাবতে পছন্দ করছি..