গল্পটা আমাদের অনেকেই জানা
ইব্রাহিম (আ:) এক সন্ধ্যা তারা দেখে বলে উঠলেন
এটাই মনে হয় আমার রব
কিন্তু যখন তা ডুবে গেলো তিনি বললেন
যা ডুবে যায় তা আমি পছন্দ করি না
তারপর যখন চাঁদ উঠল, বললেন
মনে হয় এটাই আমার রব
যখন সেটাও ডুবে গেলো, বললেন
নাহ এটাও আমার রব হতে পারে না
তারপর যখন সূর্য উঠলো, এর তেজস্ক্রিয় দেখে
তিনি বললেন
হয়তো এটাই আমার রব
আর সূর্যও যখন ডুবে গেলো, তিনি জায়নামাজের সেই বিক্ষাত দুআটি বলে উঠলেন
“ইন্নি ওজ্জাহাতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাযী ফাতারস সামা ওয়া তি ওয়াল আর্দ হানিফা ওমা আনা মিনাল মুশরিকীন
অর্থ
“আমি এক মুখী হয়ে স্বীয় আনন ঐ সত্তার দিকে করেছি, যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং নিশ্চই আমি মুশরেক নই”
[কুরআন ৬:৭৫-৭৯]
এ তো গেলো ঐতিহাসিক গল্প,
এখন আসি কিছু সমসাময়িক গল্পে
১৯ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে স্যার লিওনার্ড উলেয় ইরাকের ইউফ্রেটিস নদীর তীরে উড় নামক একটা শহর এক্সকাভেট করেন।
সামেরিয়ান সভ্যতার প্রায় ৬০০০ বছর পুরানো এই শহরটিকেই প্রাচীন বাইবেলে ইব্রাহিম আ: এর শহর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়
প্রায় ৫০ ফুট খননের পর সেখান থেকে ছোট বড় নানা সাইজের মূর্তি পাওয়া যায়,যা বাইবেল এবং কোরানে ক্লেম করা হয়েছে
সেই একই এক্সকাভেসনে থালা বাসন ছাড়াও প্রাচীন সামেরীয়ানদের অনেক হাতে লিখা ট্যাবলেটও পাওয়া যায়
এবং সেই ট্যাবলেট গুলো থেকে জানা যায়
সামেরীয়ানরা মূর্তি পুজোর পাশাপাশি সূর্য চন্দ্র ও সন্ধ্যা তারা/ শুক্র গ্রহেরও উপাসনা করতো
বেশ অবাক বিস্ময়ে ভাবছি
হাজার বছর লুকানো এই “শুক্র ফেক্ট” কোরআনে কাকতলীয় ভাবে এলো কোথা থেকে?