এক প্রাচীন জাপানীস গল্প……

একদা এক সামুরাই তাঁর স্ত্রীসহ নৌপথে যাচ্ছিলেন

সাগরে উঠলো বিশাল ঝড়

ফুলে ফেঁপে উঠলো বড় বড় ঢেউ

দূর দূরান্তে কোনো সীমানা নেই,

অজানা আতঙ্কে সামুরাইয়ের স্ত্রী শিউড়ে উঠলো

দৌড়ে গেল স্বামীর কাছে

গিয়ে দেখে

সামুরাই শাহেব প্রশান্ত চিত্তে বসে আছে

সমুদ্রের ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য শান্ত ভাবে অবলোকন করছে

“তুমি কি?”

চিৎকার করে উঠলো স্ত্রী

“এই সময়ে এতো শান্ত হয়ে মানুষ বসে থাকে কি করে?”

“জীবনের জন্য কি কোন দয়া মায়া নেই তোমার?”

সামুরাই তখন শান্ত ভাবে, তার তরবারি বের করে স্ত্রীর গর্দানে রাখলেন।

স্ত্রী ফিক করে হেসে দিলেন

“তুমি হাসছ যে?”

“জীবনের জন্য কি কোন দয়া মায়া নেই তোমার?”

আমার এই নগ্ন তলওার কি তোমার ভিতরে কোন ভয় শাঞ্ছার করছে না?”

“না!”

“আমি জানি তুমি আমায় ভালোবাসো”

সামুরাই তখন হেসে উত্তরে দিলেন

“আমার জানোও সেই সত্তার হাতে যিনি আমায় ভালবাসেন!”

“আমি ভয় পাই কি করে?”

_________________________________________

ছোট গল্প,

তবে এর গভীরতা অনেক

আমায় বেশ নাড়া দিয়েছিল

“আমায় তিনি ভালোবাসেন”

এটা কোন ফ্যান্টাসি না, বাস্তবতা

এবং এই বাস্তবতাটি যেদিন বুঝতে পারব

সেদিন ভয়, শঙ্কা ও অনিশয়তার অনুভূতি গুলো ঐ সামুরাইএর মতই বিশ্বাসে টার্ন নিবে

টিকা:

কঠিন সময়ে তাঁর কয়েকটা কথা আমায় শান্ত থাকতে সাহায্য করে,

আশা করি আপনাদেরও কাজে আসবে

১.”… নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল ও দয়াবান…”

[কুরআন ৯৪:৫-৬]

২. “..আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তাই চান; তিনি তোমাদের উপর কোনো জটিলতা কামনা করেন না..”

[কুরআন ২:১৮৫]

৩. “হে আমার বান্দাগণ, তোমরা যারা নিজেদের উপর যুলুম করে

ফেলেছো, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় তিনি তোমাদের সমস্ত দোষ মাফ করতে পারেন। তিনি ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু”

[কুরআন ৩৯:৫৩]

৪. “আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে নিজে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে থাকে” [কুরআন ২:২৮৬]

৫. “তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তা তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।

বস্তুতঃ (কোনটা কল্যাণকর ও কোনটা অকল্যাণকর) আল্লাহই ভালো জানেন, তোমরা জান না।

[কুরআন ২:২১৬]

৬. আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে ধৈর্য্যশীলদের সুসংবাদ দাও।

[কুরআন ২:১৫৫]

৭. “(জেনে রাখো) কষ্টের পরপরই স্বস্তি রয়েছে। নিশ্চয় কষ্টের পরপরই স্বস্তি রয়েছে।”

[কুরআন ৯৪:৫-৬]

৮. “হে বিশ্বাসীগন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।”

[কুরআন ২:১৫৩]

Leave a comment